উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেশের সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমকে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৭’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কয়েকজন এমপি বিলটি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তাদের সংশোধনী প্রস্তাবগুলোও গ্রহণ করেননি শিক্ষামন্ত্রী।
পাসকৃত বিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত বিধানাবলি প্রযোজ্য করার বিধান রাখা হয়েছে। বিলের বিধানাবলি কার্যকর হওয়ার পর সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল নামে একটি সংবিধিবদ্ধ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠারও বিধান রয়েছে। বিধান অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, চারজন পূর্ণকালীন সদস্য এবং আটজন খণ্ডকালীন সদস্য সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠন করা হবে।
বিলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান-সদস্য নিয়োগ, যোগ্যতা ও তাদের মেয়াদ, কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি, কাউন্সিলের সভা, কাউন্সিলের সচিব ও কর্মচারী নিয়োগ, অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি গঠন, বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ফ্রেমওয়ার্কসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
এতে কনফিডেন্স সার্টিফিকেট, অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেটের আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর, ফি, সার্টিফিকেটের বৈধতা, সার্টিফিকেট প্রাপ্তির শর্ত, নিরীক্ষা ও অ্যাসেসমেন্ট এবং সার্টিফিকেট বাতিলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত করার বিধান করা হয়। বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কনফিডেন্স সার্টিফিকেট বাতিল কিংবা প্রয়োজনে অ্যাক্রেডিটেশন সনদপত্র স্থগিত, প্রত্যাহার কিংবা বাতিল এবং এর অতিরিক্ত হিসেবে জরিমানা আরোপ করার বিধান রাখা হয়েছে বিলে।