বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের রূপকল্প ও অভিলক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ নীতিমালা নিম্নরূপঃ
১. বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক (এনকিউএফ) বাস্তবায়ন এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিক প্রোগ্রাম অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করিবে;
২. বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এর আওতাধীন একাডেমিক প্রোগ্রামসমূহের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট প্রদান করিবে;
৩. কাউন্সিলের বিধিমালা অনুসরণে যোগ্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী সত্তা কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য আবেদনের মাধ্যমে অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়া শুরু হইবে;
৪. কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন মানদণ্ড প্রতিপালন (Compliance) অপরিহার্য বলিয়া বিবেচিত হইবে;
৫. অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য আবেদন প্রাপ্তির পর, সংশ্লিষ্ট উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ একাডেমিক প্রোগ্রাম এর বহিঃস্থ গুণগতমান নিরূপণ কাজ পরিচালনার্থে কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন বিধিমালা অনুসরণে কাউন্সিল অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি ও বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করিবে;
৬. অ্যাক্রেডিটেশন কমিটির বহিঃস্থ গুণগতমান নিরূপণ প্রতিবেদন এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী সত্তার স্ব-নিরূপণ প্রতিবেদন ও দাখিলকৃত দলিলাদির পর্যালোচনার সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে কাউন্সিল অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট প্রদান করিবে;
৭. অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য আগ্রহী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী সত্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল ‘মেণ্টর’ নিয়োগ করিতে পারিবে। মেণ্টর উক্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী সত্তাকে যথাযথ দলিলপত্রসহ কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন মানদণ্ড প্রতিপালন (Compliance) বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করিবেন;
৮. কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদের জন্য বৈধ বলিয়া গণ্য হইবে, তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদকালে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনায় কাউন্সিলের মানদণ্ড বজায় রাখিতে হইবে;
৯. অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট প্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনায় অ্যাক্রেডিটেশন মানদন্ডসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হইতেছে কিনা তাহা পরিবীক্ষণের নিমিত্ত কাউন্সিল একাডেমিক নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করিবে;
১০. বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৭ এবং অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত বিধিমালার অধীনে নির্ধারিত কোন শর্ত ভঙ্গ করা হইলে কাউন্সিল তৎকর্তৃক প্রদত্ত যে কোন সার্টিফিকেট স্থগিত/বাতিল করিতে পারিবে;
১১. অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট বিষয়ে কাউন্সিলের কোন বিরূপ সিদ্ধান্তের কারনে সংক্ষুব্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী সত্তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করিতে পারিবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন বিধিমালা অনুসরণে নিষ্পত্তি করা হইবে;
১২. অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও অ্যাক্রেডিটেশনের প্রতি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে উদ্বুদ্ধ করিবার নিমিত্ত কাউন্সিল অ্যাক্রেডিটেশন সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলির প্রচারণা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রশিক্ষণ কার্যাবলির আয়োজন করিবে;
১৩. কাউন্সিল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করিবে;
১৪. কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ে পরিচালিত গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ে উদ্ভাবিত নব নব উদ্ভাবনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করিয়া ক্রমাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাউন্সিল নিয়মিতভাবে তাহার অ্যাক্রেডিটেশন মাণদণ্ড পর্যালোচনাপূর্বক পরিবর্ধন, পরিমার্জন ও হালনাগাদ করিবে;
১৫. কাউন্সিল জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্বীকৃত বিভিন্ন কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থার সহিত নেটওয়ার্কিং, পারস্পরিক আলোচনা ও সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের ব্যবস্থা করিবে;
১৬. কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ এবং অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি, পুনর্বিবেচনা কমিটি, একাডেমিক নিরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণ টিমের সদস্যবৃন্দ তাঁহাদের উপর অর্পিত দায়িত্বাবলি কাউন্সিলের স্বার্থগত দ্ব›দ্ব ও গোপনীয়তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণপূর্বক শুদ্ধাচারের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখিয়া কার্য সম্পাদন করিবেন।